রোহিঙ্গা সংকট, ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি।
শনিবার (৪ মে) বিকালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের ফাঁকে, হাছান মাহ্মুদ এবং সামেহ হাসান শুকরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে প্রস্তাব দেন। জবাবে, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা অব্যাহতি নিয়ে একটি সমঝোতা সইয়ের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন।
উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন আয়োজনের মাধ্যমে, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করতে একমত হন তারা।
মিশরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিশর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
পরে, ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ডিসিও'র সদস্য রাষ্ট্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আন্তুর্জাতিক ব্যবহার সংক্রান্ত 'মাল্টিলেটারাল এআই এগ্রিমেন্ট' শীর্ষক একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করছে বলে মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিও'র মহাসচিবকে বাংলাদেশে সফর করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখার আমন্ত্রণ জানান। দিমা আল ইয়াহিয়া এই আমন্ত্রণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো এল পি মারসুদি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
